October 24, 2024, 12:16 pm
মনির হোসেন জীবন- রাজধানীতে অপহরণপূর্বক মুক্তিপণ আদায়কারী সংঘবদ্ধ চক্রের মূলহোতা শামীমসহ ৮ জন সদস্যকে যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ সোমবার দুপুরে র্যাব-৩ সিনিয়র সহকারী পরিচালক স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) মোঃ আরিফুর রহমান জানান, গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৮ টার দিকে র্যাব-৩ এর একটি চৌকস দল যাত্রাবাড়ি এলাকায় সাড়াশি অভিযান চালিয়ে রাজধানীর রামপুরা এলাকার বহুল আলোচিত অপহরণপূর্বক মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের মূলহোতা মোঃ শামীম হোসেন নাঈম এবং তার ৮ সহযোগী (অপহরণকারী)কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
তিনি জানান, আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, মুক্তিপণ আদায়কারী চক্রের মূলহোতা মোঃ শামীম হোসেন নাঈম (২১), তার ৮ সহযোগীরা হলেন, মোঃ শান্ত মিয়া (৩৫), মোঃ সাইদুল ইসলাম (১৮), মোঃ দুলাল হোসেন (৩৫), রাকিব ইসলাম (২৩), সুমন সরকার (২৭), মিঠুন মিয়া (২৩), মোঃ সাইফুল ইসলাম মুন্না (২৬) ও মোঃ লিটন মিয়া ওরফে আকাশ (৩৬)।
র্যাব বলছে, এসময় তাদের নিকট থেকে নগদ ৫৬ হাজার ৩৬ টাকা, ৬ টি স্মার্ট ফোন, ২ টি বাটন ফোন, রুপার চেইন ২টা ও রুপার ব্রেসলেট ১টি উদ্বারমূলে জব্দ করা হয়।মাগুরা, ময়মনসিংহ, সিলেট, মুন্সীগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও ঢাকা জেলায় তাদের বাড়ি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা র্যাবকে জানায়, তারা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করে কৌশল অবলম্বন করে মোবাইলের মাধ্যমে ফোন করে নারীদের সাথে যৌন কাজে লিপ্ত করার কথা বলে পূর্ব-পরিকল্পিত স্থানে বা ভবনে ভিকটিমদের নিয়ে আসে। এরপর ভিকটিমদের একটি কক্ষে প্রবেশ করিয়ে তার অশ্লীল চিত্র ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করার হুমকিসহ জোরপূর্বক আটক রেখে নির্যাতন করে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাদের পরিবারের নিকট থেকে মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল।
আরিফুর রহমান জানান, গতকাল রোববার রাতে র্যাব-৩ এর গোয়েন্দা সদস্যদের নজরধারী ও বিচক্ষনতায় থাকায় তাদেরকে যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে আটক করা হয়। এদের নামে ডিএমপির রামপুরা থানার পেনাল কোড আইনে অপহরণ মামলা রয়েছে। তারা ওই মামলার পলাতক আসামী।তাদেরকে জিঙ্গাসাবাদ শেষে ডিএমপির রামপুরা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের এ কর্মকর্তা।